৬ষ্ঠ সপ্তাহের রসায়ন ১ম পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর পরীক্ষার্থী ২০২২

২০২২ সালের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের জন্য – ৬ষ্ঠ সপ্তাহের রসায়ন ১ম পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর দেখুন। ২০২২ সালের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের জন্য এইচএসসি, আলিম শ্রেণির ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট রসায়ন ১ম পত্রের বাছাইকৃত নমুনা উত্তর- (পরমাণুর অভ্যন্তরে ইলেকট্রনের অবস্থান এবং পারমাণবিক বর্ণালীর উৎস) প্রস্তুত করা হয়েছে। এইচএসসি ও আলিম ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট রসায়ন ১ম পত্রের নির্ধারিত কাজে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার জন্য এই উত্তরটি তোমাকে সহযোগিতা করবে।

২০২২ সালের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের জন্য – ৬ষ্ঠ সপ্তাহের রসায়ন ১ম পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সরকারি বেসরকারি মাদ্রাসা ও কলেজ সমূহে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কলেজ ও মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৬ষ্ঠ সপ্তাহে রসায়ন ১ম পত্রের এসাইনমেন্ট এর একটি বাছাইকরা নমুনা উত্তর তোমাদের জন্য প্রস্তুত করে দেয়া হলো।

৬ষ্ঠ সপ্তাহের রসায়ন ১ম পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর পরীক্ষার্থী ২০২২
২০২২ সালের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের জন্য – ৬ষ্ঠ সপ্তাহের রসায়ন ১ম পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর
উচ্চমাধ্যমিকএইচএসসি এসাইনমেন্ট উত্তর
বিষয়রসায়ন ১ম পত্র
পরীক্ষা২০২২ ইং
বিষয় কোড১৭৬
শাখাশুধু বিজ্ঞান শাখার জন্য
প্রকাশ২০২১
পরমাণুর অভ্যন্তরে ইলেকট্রনের অবস্থান এবং পারমাণবিক বর্ণালীর উৎস
  • ২য় বর্ষ
  • বিভাগঃ বিজ্ঞান
  • বিষয়ঃ রসায়ন
  • অ্যাসাইনমেন্ট নং- ০১
  • দ্বিতীয় অধ্যায়- গুণগত রসায়ন

অ্যাসাইনমেন্টঃ পরমাণুর অভ্যন্তরে ইলেকট্রনের অবস্থান এবং পারমাণবিক বর্ণালীর উৎস

শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ

১. পরমাণুর রাদারফোর্ড ও বাের মডেলের তুলনা করতে পারবে।
২. কোয়ান্টাম সংখ্যা, বিভিন্ন উপস্তর এবং ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা ব্যাখ্য করতে পারবে
৩. কোয়ান্টাম উপস্তরের শক্তিক্রম এবং আকৃতি বর্ণনা করতে পারবে।
৪. আউফবাউ, হুন্ড ও পউলির বর্জন নীতি প্রয়ােগ করে পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস করতে পারবে।
৫. তড়িৎ চুম্বকীয় বর্ণালী ব্যাখ্যা করতে পারবে।
৬. বাের পরমাণুর মডেল অনুসারে হাইড্রোজেন পনমাণুর বর্ণালী ব্যাখ্যা করতে পারবে।

নির্দেশনা (সংকেত ধাপ/ পরিধি):

১। ইলেকট্রন বিন্যাস সম্পর্কিত নীতিসমূহ ব্যাখ্যা করা।
২। কোয়ান্টাম সংখ্যা থেকে শক্তিস্তর সমূহের ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা নির্ণয় করা।
৩। উপশক্তিস্তর সমূহের বর্ণনা ও আকৃতি ব্যাখ্যা করা।
৪। পারমাণবিক বর্ণালীর উৎস ব্যাখ্যা করা।

এইচএসসি, আলিম শ্রেণির ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট রসায়ন ১ম পত্রের বাছাইকৃত নমুনা উত্তর

গুণগত রসায়ন হল রসায়ন পাঠের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। গুণগত রসায়ন পাঠে আমরা কোনো যৌগে কোনো মৌল বা মূলক বা যৌগ কি পরিমাণে আছে তা নির্ণয় করতে পারি। এছাড়াও গুণগত রসায়নে আমরা পদার্থের অভ্যন্তরীণ গঠন, বর্ণালী, সনাক্তকরণ পরীক্ষা, মৌল বা যৌগের পৃথকীকরণ, ক্রোমাটোগ্রাফি ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচিত হয়। সুতরাং এ কথা অনস্বীকার্য যে, রসায়নে গুণগত রসায়ন এর গুরুত্ব অপরিসীম।

ইলেকট্রন বিন্যাস সম্পর্কিত নীতিসমূহ

৬ষ্ঠ সপ্তাহের রসায়ন ১ম পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর পরীক্ষার্থী ২০২২
আফবাউ নীতি

আউফবাউ নীতি কোনো পরমাণু বা আয়নের ইলেকট্রনের বিন্যাস বা কনফিগারেশন নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। এটি 3d ও 4s অরবিটালদ্বয়ের ইলেকট্রন ধারণক্ষমতার ধারাবাহিকতা প্রকাশ করে। আউফবাউ (aufbau) একটি জার্মান শব্দ, যার অর্থ নির্মাণ করা বা উপরে যাওয়া। এ নীতি হলো:

“কোনো পরমাণুর ইলেক্ট্রনসমূহ তাদের শক্তির উচ্চক্রম অনুসারে প্রবেশ করবে।” এ নীতি অনুসারে সামগ্রিকভাবে ইলেকট্রনসমূহ বিভিন্ন অরবিটালে তাদের শক্তির উচ্চক্রম অনুসারে প্রবেশ করে। অর্থাৎ ইলেকট্রন প্রথমে নিম্ন শক্তির অরবিটালে এবং পরে ক্রমান্বয়ে উচ্চ শক্তির অরবিটালসমূহে প্রবেশ করে, কারণ নিম্ন শক্তির স্তরের স্থিতিশীলতা বেশি।

কোন অরবিটালের শক্তি কত তা প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা ‘n’ এবং সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা ‘l’-এর মান থেকে হিসেবে করা হয়। যে অরবিটালের জন্য (n +l ) এর মান কম সেটিই নিম্ন শক্তির অরবিটাল এবং ইলেকট্রন তাতেই প্রথম প্রবেশ করে। যেমন–

  • 3d অরবিটালের জন্য, n = 3 এবং l = 2 ∴ (n + l) = 3 + 2 = 5
  • 4s অরবিটালের জন্য, n = 4 এবং l = 0 ∴ (n + l) 4 + 0 = 4

সুতরাং 3d-এর চেয়ে 4s এর শক্তি কম বলে (4s < 3d) ইলেকট্রন আগে 4s অরবিটালে প্রবেশ করে এবং সেটি পূর্ণ হলে 3d অরবিটালে যায়।

কিন্তু যদি দুটি অরবিটালের ক্ষেত্রে (n + l) এর মান সমান হয় তবে তাদের মধ্যে যে অরবিটালের ‘n’-এর মান নিম্ন অর্থাৎ প্রধান শক্তিস্তর নিম্নতর ইলেকট্রন তাতেই আগে প্রবেশ করে। যেমন–

  • 3d অরবিটালের জন্য, n = 3 এবং l = 2 ∴ (n + l) = 3 + 2 = 5
  • 4p অরবিটালের জন্য, n = 4 এবং l = 1 ∴ (n + l) 4 + 1 = 5

সুতরাং এ দুটি অরবিটালের (n + l) এর মান সমান। তবে 4p অপেক্ষা 3d অরবিটালের n-এর মান কম। তাই 4p অপেক্ষা 3d অরবিটালের শক্তিও কম। এজন্য ইলেকট্রন আগে 3d অরবিটালে ও তা পূর্ণ হলে পরে 4p অরবিটালে প্রবেশ করে।
পারমাণবিক বর্ণালী বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন অরবিটালের আপেক্ষিক শক্তিক্রম নির্ণয় করা হয়। তারপর আউফবাউ এর নীতি অনুসারে ইলেকট্রন বিন্যাসের জন্য চূড়ান্তভাবে অরবিটালগুলোকে নিচের সাজানো হয়েছে।

হুন্ডের নিয়মঃ

যেমন- N (7) = 1s² 2s² 2px1 2py1 2pz1
সম শক্তিসম্পন্ন বিভিন্ন অরবিটালে ইলেকট্রনগুলো এমনভাবে অবস্থান করবে যেন তারা সর্বাধিক অযুগ্ম বা বিজোড় অবস্থায় থাকতে পারে। এই সব অযুগ্ম ইলেকট্রনের স্পিন একমুখী হবে।”-

এইচএসসি রসায়ন ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর | ৬ষ্ঠ সপ্তাহ

হুন্ডের নীতির ব্যাখ্যা

ব্যাখ্যাঃ হুন্ডের নিয়মটি N(7) পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসে দেখানো হল৷ নাইট্রোজেনের ইলেকট্রন বিন্যাস-N (7) = 1s² 2s² 2p³ আবার 2p অরবিটালে সমশক্তিসম্পন্ন তিনটি অরবিটাল আছে, যেটি কোয়ান্টাম উপশক্তিস্তর আকার আকৃতি থেকে জানা যায় যে p অরবিটালের আকৃতি আসলে ত্রিমাত্রিক ডাম্বেল আকৃতির, 2p অরবিটালের তিনটি অরবিটাল আছে; এদেরকে px, py, pz অরবিটাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়৷ সুতরাং নাইট্রোজেনের বেলায় 2p³ এর তিনটি ইলেকট্রন তিনটি সমশক্তির অরবিটালে আলাদা আলাদাভাবে থাকবে এবং এদের স্পিনসমূহের দিক একইমুখী হবে।

পলির বর্জন নীতি

একই পরমাণুতে যে কোন দুটি ইলেকট্রনের চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনোও একই হতে পারেনা। দুটি ইলেকট্রনের ৩টি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান একই হলে চতুর্থ কোয়ান্টাম সংখ্যা অবশ্যই ভিন্ন হবে।
যেমনঃ- দুটি ইলেকট্রন বিশিষ্ট একটি পরমাণুতে –
১ম ইলেকট্রনের জন্য, n = 1, l = 0, m = 0, s = + ,
২য় ইলেকট্রনের জন্য, n = 1, l = 0, m = 0, s = – ,
অর্থাৎ একই পরমাণুর ২টি ইলেকট্রনের কক্ষপথের আকার (n), আকৃতি ( l ), কৌণিক অবস্থান (m) একই হতে পারে যদি তাদের নিজ অক্ষের উপর ঘুর্ননের দিক পরস্পর বিপরীতমুখী হয়। সুতরাং পলির বর্জন নীতির মূলকথা হলো- ” একটি পারমাণবিক অরবিটালে সর্বাধিক দুটি ইলেকট্রন থাকতে পারে যদি তাদের ঘুর্নন বা স্পিন বিপরীত মুখী হয়।

অরবিটালে শক্তি নির্ণয়: (কিছু প্রয়ােজনীয় তথ্য)।

• যে অরবিটালের n + 1 এর মান বেশি সেই অরবিটাল বেশি শক্তি সম্পন্ন। যেমন: 3d এর ক্ষেত্রে (n + 1) = 3 + 2 = 5; 4s এর ক্ষেত্রে (n + /) = 4 + 0 = 4। সুতরাং 3d এর চেয়ে 4s এর শক্তি কম। তাই ইলেকট্রন কম শক্তির অরবিটাল অর্থাৎ 4s এ আগে প্রবেশ করবে এবং অতঃপর 3d তে প্রবেশ করবে।
• n + 1 এর মান সমান হলে যে অরবিটালের n এর মান বেশি, সে অরবিটাল বেশি শক্তিসম্পন্ন। যেমন: 2p এর ক্ষেত্রে (n + 1) = 2 + 1 = 3; 3s এর ক্ষেত্রে (n + /) = 3 + 0 = 3.
• উভয়েরই n +l এর মান সমান কিন্তু n এর মান 2p এর চেয়ে 3s এর বেশি। সুতরাং ইলেকট্রন কম শক্তিসম্পন্ন অরবিটাল অর্থাৎ 2p তে আগে প্রবেশ করবে।

অরবিটাল গুলাের শক্তিক্রম নিম্নরূপ:

ls < 2s < 2p <3s < 3p <4s < 3d <4p < 5s < 4d < 5p < 6s <4f < 5d < 6p <7s < 5f < 6d <7p < 8s

কোয়ান্টাম সংখ্যা বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি বিষয়৷ কোয়ান্টাম সংখ্যা ছাড়া অনু-পরমাণু সর্ম্পকে জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয়।

কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রকারভেদ

• ১. প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা(n)
যে কোয়ান্টাম সংখ্যার সাহায্যে পরমাণুতে অবস্থিত ইলেকট্রনের শক্তিস্তরের আকার নির্ণয় করা যায় তাকে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে। একে n দ্বারা প্রকাশ করা হয়,n এর মান যথাক্রমে 1,2,3,4….. প্রভৃতি পূর্ণ সংখ্যা। প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার মান বৃদ্ধি হলে নিউক্লিয়াস হতে প্রধান স্তরের দুরত্ব এবং শক্তিস্তরের আকার বৃদ্ধি পায়। বোর মতবাদ অনুসারে n=1 হলে ১ম শক্তিস্তর বা K শেল, n=2 হলে ২য় শক্তিস্তর বা L শেল, n=3 এবং n=4 হলে M ও N ইত্যাদি বোঝায়। যে কোনো প্রধান শক্তিস্তর সর্বোচ্চ 2n² ইলেকট্রন ধারণ করতে পারে।
• ২. গৌন কোয়ান্টাম সংখ্যা(l)
যে কোয়ান্টাম সংখ্যার সাহায্যে শক্তিস্তরের আকৃতি নির্ণয় করা যায় তাকে সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে। সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা,l এর মান 0 থেকে (n-1) পর্যন্ত হতে পারে। বোরের তত্ত্বে পরমাণু ছিল বর্তুলাকার। কিন্তু সোমারফিল্ড দেখান যে, কক্ষপথ উপবৃত্তাকারও হতে পারে। তাছাড়া, হাইড্রোজেন পরমাণুর বর্ণালীর প্রতিটি রেখা আসলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত ছিলো। সোমারফিল্ড বললেন যে প্রতিটি অরবিট বা প্রধান শক্তিস্তর n সংখ্যক ভাগে বিভক্ত যাদের মধ্যে শক্তির সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। এর ফলেই সূক্ষ্ম রেখাগুলো দেখা যায়।

পরমাণুর অভ্যন্তরে ইলেকট্রনের অবস্থান এবং পারমাণবিক বর্ণালীর উৎস

• ৩. চৌম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা (m)
যে সকল কোয়ান্টাম সংখ্যার সাহায্যে ইলেকট্রনের কক্ষপথের ত্রিমাত্রিক দিক বিন্যাস প্রকরণ সমূহ প্রকাশ করা হয়, তাকে ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা বা চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে। চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা, m এর মান -l থেকে l এর পর্যন্ত পূর্ণসংখ্যা। নন-ডিজেনারেট অবস্থায় অরবিটালসমূহ সমশক্তির, তবে চুম্বকক্ষেত্রে রাখলে শক্তির পার্থক্য তৈরি হয়। আর বলা বাহুল্য, z অক্ষ বরাবর অরবিটাল, যেমন p_z, d-z² এর বেলায় m=0
• ৪. ঘূর্ণন কোয়ান্টাম সংখ্যা(s)
নিজস্ব অক্ষের চারদিকে ইলেকট্রনের ঘুর্ণনের দিক প্রকাশক কোয়ান্টাম সংখ্যা সমূহকে স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা বা ঘূর্ণন কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে। এই কোয়ান্টাম সংখ্যা, s, ফার্মিয়ন কণার বেলায় তা ±½ এর গুণিতক। ইলেক্ট্রনের বেলায় তা ½.

একটি মৌলের (Mg) কথা চিন্তা করি যার পারমাণবিক সংখ্যা 12। অর্থাৎ মৌলটির একটি পরমাণুতে 12টি প্রােটন আছে। আবার প্রতিটি প্রােটন +1 চার্জ বিশিষ্ট, ফলে পরমাণুটি +12 চার্জ বিশিষ্ট হওয়ার কথা কিন্তু পরমাণু চার্জ নিরপেক্ষ অথাৎ পরমাণুর মধ্যে প্রােটন সংখ্যার সমান সংখ্যক ইলেকট্রন বিদ্যমান, তার অর্থ পরমাণুটিতে 12টি ইলেকট্রন (-1 চার্জবিশিষ্ট) বিদ্যমান। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রনগুলাে কিভাবে বিন্যস্ত আছে? এগুলাে কি এক সাথে আছে নাকি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে?

পরমাণুর অভ্যন্তরে ইলেকট্রনের অবস্থান এবং পারমাণবিক বর্ণালীর উৎস

ইলেকট্রনগুলাে পরমাণুর বিভিন্ন শক্তিস্তর বা কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান আছে। প্রতিটি শক্তিস্তরের মধ্যে শক্তি বা energy এর পার্থক্য বিদ্যমান, এ সমস্ত বিভিন্ন শক্তিস্তরের বিভিন্ন নাম আছে, যেমন: K, L, M, N, O ……. ইত্যাদি। প্রথম শক্তিস্তর হলে তাকে K, দ্বিতীয় শক্তিস্তর হলে তাকে L, তৃতীয় শক্তিস্তর হলে M ইত্যাদি নামে আখ্যায়িত করা হয়।


এই সমস্ত শক্তিস্তরের ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা বিভিন্ন হয়। একটি শক্তিস্তরে সর্বোচ্চ কতগুলাে ইলেকট্রন থাকতে পারে তা 2n² সূত্র দ্বারা বের করা যায়, যেখানে n হচ্ছে শক্তিস্তরের সংখ্যা যেমন: 1, 2, 3 ইত্যাদি পূর্ণ সংখ্যা।

নিচে বিভিন্ন শক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা দেওয়া হল :

Kশক্তিস্তরের ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা = 2n2 = 2 x 1 = 2;
L শক্তিস্তরের ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা = 2n2 = 2×2= ৪;
M শক্তিস্তরের ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা = 2n2 =2 x 3 = 18;
N শক্তিস্তরের ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা = 2n= 2 × 4 = 32;

এই নিয়ম অনুসারে Mg (12) মৌলের ইলেক্ট্রন বিন্যাস নিম্নরুপ

পারমানবিক সংখ্যামৌলKLM
12Mg282

হাইড্রোজেন থেকে আর্গন পর্যন্ত মৌলগুলাের ইলেকট্রন বিন্যাস এই নিয়মে করা যায়। কিন্তু 18 এর বেশি পারমাণবিক সংখ্যা বিশিষ্ট মৌল গুলাের . ইলেকট্রন বিন্যাস এই নিয়মে হয় না। যেমন: আয়রন (Fe) এর একটি পরমাণুতে 26 টি ইলেকট্রন বিদ্যমান এবং পূর্বের নিয়ম অনুসারে এর ইলেকট্রন বিন্যাস হওয়া উচিত 2, 8, 16 । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে Fe(26) এর ইলেকট্রন বিন্যাসটি নিম্নরূপ:

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে Fe (26) এর ইলেক্ট্রন বিন্যাসটি নিম্নরুপ

পারমানবিক সংখ্যামৌলKL M N
26Fe28142

দেখা যাচ্ছে ইলেকট্রন আগের শক্তিস্তর সম্পূর্ণ পূরণ না করেই পরের শক্তিস্তরে চলে গেছে। এই ঘটনা ব্যাখ্যার জন্য আমাদের অরবিটাল বা উপস্তরের ধারণা লাগবে।


প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তর এক বা একাধিক উপস্তর (orbital) নিয়ে গঠিত। এদেরকে s, p, d, f …… ইত্যাদি নামে নামকরণ করা হয় এই সমস্ত অরবিটালের একদিকে যেমন শক্তির তারতম্য আছে ঠিক অন্য দিকে এদের ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা ভিন্ন হয়।।
এখন ইলেকট্রন বিন্যাসের সময় ইলেকট্রন কোন উপস্তরে আগে যাবে তা জানার জন্য আমাদের একটি সূত্র জানতে হবে। ইলেকট্রন বিন্যাসের সময় ইলেকট্রনসমূহ তাদের বিভিন্ন অরবিটালে তাদের শক্তির নিম্নক্রম থেকে উচ্চক্রম অনুসারে প্রবেশ করে (আউফবাউ নীতি)।

এইচএসসি 2022 রসায়ন ৬ষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর PDF

নিচে বিভিন্ন উপশক্তিস্তরের ইলেকট্রন ধারন ক্ষমতা দেওয়া হলো:

উপস্তরের নামইলেক্ট্রন ধারণ ক্ষমতাL এর মান
S20
P61
D102
F143

L হলাে সহকারী কোয়ান্টাম নম্বর। এখানে অরবিটালের শক্তি নির্ণয়ের জন্য প্রতিটি উপস্তরের মান দেওয়া হলাে।

কোয়ান্টাম উপস্তরের শক্তিক্রম

অরবিট: বোর পরমাণুবাদ মতে নিউক্লিয়াসের চারপাশে ইলেকট্রন কতগুলো অনুমোদিত গোলাকার কক্ষপথে/শক্তিস্তরে আবর্তিত হয় । এদের অরবিট বলে। প্রতিটি শক্তিস্তরে নির্দিষ্ট সংখ্যক (2n²) ইলেকট্রন থাকে। কোয়ান্টাম মতবাদের উপর ভিত্তি করেই অরবিটের ধারণা প্রতিষ্ঠিত।

অরবিটালঃ পরমাণুর ভেতর যে ত্রিমাত্রিক জায়গা জুড়ে ইলেকট্রন এর ঘনত্ব বেশি, তাই অরবিটাল ।
একটি পরমাণুর শক্তিস্তর বা ইলেকট্রনের শক্তিস্তরকে (সাধারণভাবে প্রধান শক্তিস্তর নামে পরিচিত) পরমাণুর নিউক্লিয়াসের চারিদিকে ঘূর্ণায়মান ইলেক্ট্রনের কক্ষপথ বলা যেতে পারে। এটি মূলতঃ পারমাণবিক অরবিটালসমূহের একটি গ্রুপ যাদের প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার (n) মান সর্বদাই সমান। ইলেকট্রনের শক্তিস্তর এক বা একাধিক উপশক্তিস্তর নিয়ে গঠিত হয়। প্রতিটি উপশক্তিস্তরে আবার দুই বা ততোধিক অরবিটাল থাকে যাদের কৌণিক ভরবেগ কোয়ান্টাম সংখ্যার মান ১। অর্থাৎ একই। এই শক্তিস্তরগুলোই একটি পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস তৈরি করে।

পরের অংশটি নিচে হতে ডাইনলোড করবেন

আমাদের ওয়ার্ড/PDF ফাইলে হুন্ডের নিয়ম, হুন্ডের নীতির ব্যাখ্যা, পলির বর্জন নীতি, অরবিটালে শক্তি নির্ণয়: (কিছু প্রয়ােজনীয় তথ্য), অরবিটাল গুলাের শক্তিক্রম, কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রকারভেদ, পরমাণুর অভ্যন্তরে ইলেকট্রনের অবস্থান এবং পারমাণবিক বর্ণালীর উৎস, বিভিন্ন শক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা, Mg (12) মৌলের ইলেক্ট্রন বিন্যাস, প্রকৃতপক্ষে Fe (26) এর ইলেক্ট্রন বিন্যাসটি, বিভিন্ন উপশক্তিস্তরের ইলেকট্রন ধারন ক্ষমতা, কোয়ান্টাম উপস্তরের শক্তিক্রম, শক্তিস্তর সহ পর্যায় সারণী, উপশক্তিস্তর সমূহের বর্ণনা ও আকৃতি ব্যাখ্যা, পারমাণবিক বর্ণালীর উৎস ব্যাখ্যা, হাইড্রোজেন পরমাণুর রেখা বর্ণালী,জোহান জ্যাকব বামার, অ্যান্ডার্স জোনস অ্যাংস্ট্রম, দৃশ্যমান আলোর বাইরের অঞ্চলের বর্ণালীর ব্যাখ্যার জন্য বেশ কয়েকটি সমীকরণ আবিষ্কার করেন তার বিস্তারিত আলোচনা আছে।

রসায়ন এসাইনমেন্ট উত্তর ৬ষ্ঠ সপ্তাহ ২০২২ এর পরীক্ষার্থীদের জন্য

এইচএসসি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ ২০২২ পরীক্ষার্থীদের জন্য এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ

About ApplyForJob

Check Also

Nursing & Midwifery Admission 2023

Nursing & Midwifery Admission 2023

Nursing & Midwifery Admission 2023 Nursing & Midwifery Admission 2023: Bangladesh Nursing & Midwifery Admission …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *