এইচএসসি ২০২২ পৌরনীতি ২য় পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর ৭ম সপ্তাহ: এইচএসসি এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ – ৭ম সপ্তাহ – HSC Assignment For Examine 2022. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ২৯/০৮/২০২১ ইং তারিখে প্রকাশিত ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান নিচে ৭ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট এর বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর/সমাধান দেখুন:
এইচএসসি এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ – ৭ম সপ্তাহ – HSC Assignment
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট নির্দেশনা
উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে জানানাে যাচ্ছে যে, চলমান কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মােতাবেক পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমে পুরােপুরি সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনয়নের জন্য ৭ম সপ্তাহের ইংরেজি-১ম পত্র,পদার্থবিজ্ঞান-২য় পত্র,অর্থনীতি-২য় পত্র,পৌরনীতি-২য় পত্র,যুক্তিবিদ্যা-২য় পত্র,হিসাববিজ্ঞান-২য় পত্র,খাদ্য ও পুষ্টি -২য় পত্র ।
বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন রুব্রিক্সসহ প্রণয়ন করা হয়েছে; যা এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলাে। ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম ৩১ আগস্ট, ২০২১ খ্রি. সােমবার থেকে শুরু হবে।
কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালনপূর্বক বর্ণিত বিষয়ে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরােধ করা হলাে।
HSC 7th Week civics Assignment Answer 2022
এইচএসসি এসাইনমেন্ট | ৭ম সপ্তাহ |
বিষয় | পৌরনীতি ২য় পত্র অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর |
প্রকাশের তারিখ | ২৯-০৮-২০২১ |
শ্রেণি | উচ্চ মাধ্যমিক/HSC |
অধিদপ্তর | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর |
ওয়েবসাইট | www.dshe.gov.bd |
অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম শুরু | ৩১ আগস্ট, ২০২১ খ্রি. সােমবার থেকে শুরু হবে |
২০২২ সালের এইচএসসি সকল এসাইনমেন্ট ৭ম সপ্তাহ
বর্তমানে দীর্ঘ সময় যাবত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড অ্যাসাইনমেন্ট প্রক্রিয়া চালু করেছে। তাই এইচএসসি শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান তৈরি করে তাদের স্কুলে জমা দিতে হবে। আজকের এই পোস্টের তুলে ধরা হয়েছে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২। নিচে থেকে দেখে নিন এইচএসসি সকল এসাইনমেন্ট সমাধান।
অনেকেই আছেন যারা এখনো এইচএসসি ৭ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর খুঁজে পাননি। তাদের জন্য প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর তুলে ধরা হয়েছে আজকের এই পোস্টে। এখান থেকে আপনি অতি দ্রুত আপনার এইচএসসি ৭ম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট তৈরি করতে পারবেন। তাই নিচে থেকে দেখে নিন এইচএসসি ২০২২ এসাইনমেন্ট উত্তর।
বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড এইচএসসি ২০২২ পরীক্ষার্থীদের জন্য আবারও শুরু করলো অ্যাসাইনমেন্ট প্রক্রিয়া। ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রদানের তারিখ ২৯ অগাস্ট ২০২১, স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের হাতে এইচএসসি ২০২২ পরীক্ষার্থীদের ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট তুলে দিবে। পরবর্তী এক সপ্তাহের ভিতরে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান জমা দিতে হবে। তাই আমরা আপনাদের অতি দ্রুত এইচএসসি ২০২২ এর ৭ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান পেতে সাহায্য করবো।
এইচএসসি ২০২২ পৌরনীতি ২য় পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর ৭ম সপ্তাহ
পৌরনীতি এসাইনমেন্ট উত্তর ৭ম সপ্তাহ
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ (১৯৪৭-১৯৭১)
এসাইনমেন্টঃ ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ছয়দফা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন ফলাফল হাজার 1971 ও বর্তমান বাংলাদেশ বিশ্লেষণপূর্বক উপস্থাপন।
এইচএসসি পৌরনীতি এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২
শিখনফলঃ
- ভাষা আন্দোলনের ঘটনা প্রবাহ বর্ণনা করতে পারবে।
- বাঙালী জাতীয়তাবাদ বিকাশে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করতে পারবে।
- পাকিস্তানের রাজনীতিতে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- পূর্ব বাংলার স্বায়ত্ত্বশাসন আন্দোলনে ৬-দফার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার কারণ ও ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের কারণ ও ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের গুরুত্ব মূল্যায়ণ করতে পারবে।
- ১৯৭১ সালের অসহযােগ আন্দোলনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব মূণ্যায়ন করতে পারবে।
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে পারবে।
HSC 2022 civics Assignment Answer 7th week
নির্দেশনাঃ
- ভাষা আন্দোলন, ৫৪এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন।
- ৬ দফার গুরুত্ব, আগরতলা মামলা
- ৬৯এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, অসহযােগ আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু
এইচএসসি পৌরনীতি এসাইনমেন্ট উত্তর pdf ডাউনলোড
১ নং
ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
ভূমিকাঃ পশ্চিম পাকিস্তানীরা সর্বপ্রথম যে বিষয়টার উপর আঘাত হানে তা হলাে আমাদের ভাষা। আর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে যে বাঙালিদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটেছিল তা এখনও চলমান।
ভাষা আন্দোলনঃ বাঙালিদের মাযের ভাষা বাংলা রক্ষার্থে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী যে আন্দোলন সংঘটিত হয় তাই ভাষা আন্দোলন। আর এই ভাষা আন্দোলনই ছিল বাঙালিদের জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি। পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে। এর কিছুদিন পরেই দ্বি-জাতি তত্ত্বের প্রধান প্রবক্তা জিন্নাহ নিজে গণপরিষদে বলেন, মুসলিম হিন্দু-খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ কিংবা পাঞ্জাবি-বাঙালি-সিদ্ধি-পাখতুন পরিচয় ভুলে সকলকেই এখন এক পাকিস্তানি হতে হবে। কিন্তু সেই পাকিস্তানের ঐক্যসূত্র তৈরি করতে গিয়ে তারা ইসলাম ও উদ্দুভাষার উপর জোর দেয় আর অন্যান্য ধর্ম ও ভাষা-সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নয়।
এমনকি বাংলাভাষার সমৃদ্ধ মাহিত, রবী্নাথ-মাইকেল বঙ্কিমের মতাে গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিকদের প্রতি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারবৈরি অবস্থান গ্রহণ করে। অথচ বাংলা পাকিস্তানের রাষ্রভাষা হওয়া ছিল যুক্তিযুক্ত। পাকিস্তানের তত্ত্বালীন মােট জনসংখা ৬ কোটি ৯০ লক্ষ এর মধ্যে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ বাঙালি। বাকি আড়াই কোটি মানুষের মাতৃভাষাও উদ্দু ছিল না। তাই জিন্নাহর এই অযৌক্তিক দাবির কারণে ভাষা আন্দোলন হয়।
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর ৭ম সপ্তাহ
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নিবাচনঃ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় পরিষদের ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে মুসলিম লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে পূর্ববাংলার ৪টি দল মিলে যুক্তফ্রন্ট নামীয় একটি সমন্বিত বিরােধী রাজনৈতিক মঞ্চ গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হয় এবং পরবর্তীতে নির্বাচনে জয়লাভ করে।
যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের কারণঃ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর শাসক দল মুসলিম লীগ দীর্ঘদিন নির্বাচনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ে ও প্রাদেশিক সরকার গঠনের কোনাে উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এছাড়া প্রাদেশিক সরকার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের টালবাহানা পূর্ববাংলার জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ১৯৫১ সালে পূর্ব বাংলার আইনসভার যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তা ১৯৫৪ সালের আগে হতে পারে নি ।
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর ৭ম সপ্তাহ
বিভিন্ন অজুহাতে কয়েকবার সাধারণ নির্বাচন স্থগিতকরণ ক্ষমতাসীনম মুসলিম লীগের ক্ষমতালােভী অভিসন্ধি ও সাংগঠনিক দূর্বলতার প্রমাণম দেয়। ফলে পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মুসলিম লীগের শােচনীয় পরাজয় ঘটানাের লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালের ১৪ ই নভেম্বর আওয়ামী লীগ যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৯৫৪ সালের মার্চ মাসে নৌকাম প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে এবং জয়ী হয়।
২ নং
৬ দফার গুরুত্ব,আগরতলা মামলা
৬ দফা দাবিঃ ৬ দফা দাবির প্রবক্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি পূর্ব বাংলার মানুষের প্রতি পাকিস্তানি সরকারের বৈষম্য ও অবহেলার জন্য ৬ দফা দাবি পেশ করেন। সে ৬ দফা দাবিগুলাে হলােঃ
১. পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাধীনে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার হবে সবজনীন ভােটাধিকারের ভিত্তিতে প্রাপ্ত বয়স্কদের ভােটে নির্বাচন অনুষ্ঠান।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে মাত্র দুটি বিষয় থাকবে, প্রতিরক্ষাও পররাষ্ট্র, মন্ত্রণালয়। অন্যান্য সকল বিষয়ে অঙ্গেরাজ্যগুলাের পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে।
৩. সারাদেশে হয় অবাধে বিনিযােগযোেগ্য দুধরনের মুদ্রা, না হয় বিশেষ শ্ত সাপেক্ষে একই ধরনের মুদ্রা প্রচলন।
৪. সকল প্রকার কর ধার্য করার ক্ষমতা থাকবে আঞ্চলিক সরকারের হাতে। আঞ্চলিক সরকারের আদায়কৃত রাজস্বের একটা নির্দিষ্ট অংশ কেন্দ্রীয়, সরকারকে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
৫. অঙ্গরাজ্যগুলাে নিজেদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার মালিক হবে, এর নির্ধারিত অংশ তারা কেন্দ্রকে দেবে।
৬. অঙ্গরাজগুলােকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য আধা সামরিক বাহিনী গঠনম করার ক্ষমতা দিতে হবে।
পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর ৭ম
৬ দফার গুরুত্বঃ ৬ দফা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অথনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিকসহ সকল অধিকারের কথা তুলে ধরে। আইয়ুব সরকার একে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মসূচি হিসেবে আখ্যায়িত করে। এ ক্মসূচি বাঙালির জাতীয় চেতনামূলে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার কথা বলা না হলেও এ ৬ দফা কর্মসূচি বাঙালিদের স্বাধীনতার মন্ত্রে গভীরভাবে উজ্জীবিত করে। এটি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ৬ দফা করমসূচি ঘােষণার জন্য পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং পাকিস্তানের এক নম্বর শত্ৰু বলে চিহ্নিত করে। পাকিস্তান সরকার ৬ দফা গ্রহণ না করে দমন-পীড়ন শুরু করলে আন্দোলন অনিবার্য হয়ে ওঠে।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ পাকিস্তান সরকার ১৯৬৮ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে। সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মরত ও প্রাক্তন সদস্য এবং উধব্তন সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করে তা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাম নামে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযােগ ছিল তারা ভারত সরকারের, সহায়তায় সশস্ত্র অভুথানের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা শহরে ভারতীয় পক্ষ ও আসামি পক্ষদের মধ্যে এ ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে মামলায় উল্লেখ থাকায় একে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বলা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে এ মামলা এবং এর প্রতিক্রিয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণেরম তীব্র আন্দোলনের মুখে পাকিস্তান সরকার অচিরেই মামলাটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর ৭ম সপ্তাহ
৩ নং
৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান,৭০ এর নিব্বাচন,অসহযােগ আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানঃ পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্থানের জনগণের স্বতঃস্কৃর্ত অংশগ্রহণে ১৯৬৯ সালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন সংঘটিত হয়। ইতিহাসে এটি উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান নামে পরিচিত। এটি বিপ্লবাত্মক রূপ পরিগ্রহ করে। সকল গণতান্ত্রিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও মানুষ যার যার অবস্থান থেকে এই আন্দোলনে যুক্ত হয়।
১৯৬৯ সালের গণঅভুখানের কারণঃ জেনারেল আইয়ুব খানের পতনের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের জানুয়ারিতে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও জাতীয় ছাত্র ফেডারেশন ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সবদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠন করে। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এগার দফা এবং আওয়ামী লীগের ছয় দফা সম্মিলিত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। সরকার এই আন্দোলনকে দমন করার জন্য পুলিশি নির্যাতন করে। ১৯৬৯ সালের ২০শে জানুয়ারি ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ নিবিচারে গুলি চালালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র আসাদুজামান (আসাদ) নিহত হয়। আসাদ নিহত হওয়ার পর এই আন্দোলন অভ্যুত্থানে পরিণত হয়।
৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের ফলাফলঃ ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের ফলে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এর পূর্বে তিনি ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা তুলে নেন। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নতুন সামরিক সরকার বাধ্য হয় ১৯৭০ সালে পাকিস্তানে সাধারণ নিবাচন দিতে। গণঅভ্যুত্থানের ফলে পূর্ব বাংলার জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনার বিকাশ ঘটে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রযােজনীয়তা তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ১৯৭০ এর নির্বাচন এবং ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ১৯৬৯ এর গণঅত্যুত্থানের ব্যাপক প্রভাব ছিল। তাই বলা যায় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভাবাদর্শে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল অতি তাৎপরযপূর্ণ।
১৯৭০ সালের নিব্বাচনের পটভূমিঃ ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পটভূমি শুরু হয় তখনই যখন পাকিস্তানীরা ১৯৫২ সালে সমগ্র পাকিস্তানের ৫৬% এরও বেশি লােকের মুখের ভাষা ছিল বাংলা থাকার পরেও উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করার ঘােষণা দেন। এছাড়াও ১৯৫৪ সালে পূর্ববাংলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪ দলের সমন্বয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্ট বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং মুসলিম লীগের শােচনীয় পরাজয় ঘটে। নির্বাচন পরবর্তী যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা গঠন করলেও পাকিস্তান শাসকবর্গ চক্রান্ত করে তা ভেঙে দেয়। এই প্রেক্ষাপট বাঙালির মনে জাতীয় পরিষদ নি্বাচনের আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দেয়, যা ১৯৭০ সালের নি্বাচনের পথকে প্রশস্ত করে।
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর ৭ম সপ্তাহ
পশ্চিম পাকিস্তান সামরিক শাসকদের রাজনৈতিক, অথনৈতিক, সাংস্কৃতিক শােষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা কর্মসূচি ঘােষণা করেন। যার প্রতিফলন ঘটে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে। এছাড়াও আগরতলা মামলা, আইয়ুব খানের পতন এবং স্বপরি নিজের অধিকার আদায়ে যে জাতীয় ক্ষমতার বিকল্প নেই, এসব প্রেক্ষাপটে আলােকেই ১৯৭০ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭০ সালের নিব্বাচনের ফলাফলঃ ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ফলাফলেনা দেখা যায়, জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসন (৭টি মহিলা আসনসহ) লাভ করে। বাকি দুটি আসনের মধ্যে ১টি লাভ করে পিডিপি নেতা নুরুল আমীন এবং অপর আসনটি লাভ করেন নিদলীয় প্রার্থী রাজা ত্রিদিব রায় চৌধুরী। জাতীয় পরিষদের ৩১৩ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসন পেয়ে আওয়ামী লীগ নিরন্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান। এতে পশ্চিম পাকস্তানী শাসক চক্র বিপাকে পড়ে যায়।
পূর্ব পাকিস্তানে মুসলিম লীগ জাতীয় পরিষদে কোন আসন পায়নি। জাতীয় পরিষদে পশ্চিম পাকিস্থানের জন্য বরাদ্দকৃত ১৪৪ টি আসনের মধ্যে ৮৮ টি আসন লাভকরে ভুট্টোর পিপলস পার্টি। এছাড়া ৬টি আসন পায় ন্যাপ (ওয়ালী খান), ৯টি মুসলিম লীগ (কাইউম খান), ৭টি মুসলিম লীগ। (কাউন্সিল), ২টি মুসলিম লীগ (কনভেনশন), ৭টি জমিয়তে উলামা-ই পাকিস্তান, ৭টি জমিয়তে উলামায়-ই-ইসলাম, ৪টি জামায়াত-ই-ইসলামী এবং ১৩টি পায় নিদলীয় প্রার্থী। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল আওয়ামী লীগ পশ্চিম পাকিস্তানেও পিপিপি পূর্ব পাকিস্তানে কোন আসন লাভ করতে পারেনি।
স্পষ্টতই এ নির্বাচন ছিল অঞ্চলভিত্তিক। প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৮৮টি আসন লাভ করে। প্রদত্ত ভােটের ৮৯ ভাগ পায় দলটি। বাকী ১২টি আসনের মধ্যে ৯টি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, ২টি পিডিপি এবং ১টি জামায়াত-ই-ইসলামী। আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত ১০টি মহিলা আসন সহ নির্বাচনে ৩১০ টি আসনের মধ্যে সব্বমােট ২৯৮টি আসন লাভ করে।
পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র এসাইনমেন্ট উত্তর ৭ম সপ্তাহ
অসহযােগ আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধুঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহব্বানে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ থেকে ২৫ মা্চ পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানেআন্দোলন পরিচালিত হয়। এ আন্দোলনে কেন্দ্রীয় শাসনের বিপরীতে স্বশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। ৭ মা্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেমকোর্স ময়দানে দিক নিদেশনামূলক ভাষণেরবা মাধ্যমে অসহযােগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘােষণা করেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ বিভিন্ন নি্দেশের মাধ্যমে এ আন্দোলন পরিচালনা করে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরন্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু সরকার গঠনে আহব্বান জানানাের পরিবর্তে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ১ মা্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন অনিদিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘােষণা করেন।
শেখ মুজিবুর রহমান এ সিদ্ধান্তকে দু্ভাগ্যজনক আখ্যা দেন এবং এর প্রতিবাদে ২ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল আহবান করেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনগণ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ব পাকিস্তানে অসহযােগ আন্দোলন শুরু করে। নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তরে সামরিক সরকারের গড়িমসি এবং পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির সরাসরি অসহযােগিতার ফলে শেখ মুজিবুর রহমান অসহযােগ আন্দোলনের ডাক দেন। এর বিস্তৃতি ছিল সম্পূর্ণ পূর্ব পাকিস্তান ব্যাপী। অসহযােগ আন্দোলনের পরিণতিতে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় এবং নয়মাস যুদ্ধের পর স্বাধীন সা্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে ।
এইচএসসি বিএম সকল এসাইনমেন্ট উত্তর ৪র্থ সপ্তাহ
প্রিয় এইচএসসি ২০২১ সালের শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের ৪র্থ সপ্তাহর এসাইনমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে৷ নিচে ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক দেওয়া হলো ভালো করে দেখে নিন।
সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর বিষয় | উত্তর/সমাধান লিংক |
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা-১ | উত্তর লিংক |
হিসাব বিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ-১ | উত্তর লিংক |
হিসাব বিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ-২ | উত্তর লিংক |
মার্কেটিং নীতি ও প্রয়োগ-২ | উত্তর লিংক |
এইচএসসি বিএম ৫ম সপ্তাহ সকল এসাইনমেন্ট উত্তর
প্রিয় এইচএসসি ২০২১ সালের শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের ৫ম সপ্তাহর এসাইনমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে৷ নিচে ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক দেওয়া হলো ভালো করে দেখে নিন।
সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর বিষয় | উত্তর/সমাধান লিংক |
হিসাববিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ-১ | উত্তর লিংক |
কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন-১ | উত্তর লিংক |
৬ষ্ঠ সপ্তাহের সকল এসাইনমেন্ট উত্তর
২০২২ এইচএসসি ৭ম সপ্তাহ সকল এসাইনমেন্ট উত্তর
৭ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর বিষয় | উত্তর/সমাধান লিংক |
ইংরেজি-১ম পত্র | উত্তর লিংক |
পদার্থবিজ্ঞান-২য় পত্র | উত্তর লিংক |
অর্থনীতি-২য় পত্র | উত্তর লিংক |
পৌরনীতি-২য় পত্র | উত্তর লিংক |
যুক্তিবিদ্যা-২য় পত্র | উত্তর লিংক |
হিসাববিজ্ঞান-২য় পত্র | উত্তর লিংক |
খাদ্য ও পুষ্টি -২য় পত্র | উত্তর লিংক |
7 comments
Pingback: এইচএসসি ২০২২ গৃহকর্ম ও ব্যবস্থাপনা এসাইনমেন্ট উত্তর ৮ম সপ্তাহ - ApplyForJobs24
Pingback: এইচএসসি ২০২২ জীববিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর ৮ম সপ্তাহ - ApplyForJobs24
Pingback: এইচএসসি ২০২২ সমাজকর্ম এসাইনমেন্ট উত্তর ৮ম সপ্তাহ - ApplyForJobs24
Pingback: এইচএসসি ২০২২ বাংলা এসাইনমেন্ট উত্তর ৮ম সপ্তাহ - ApplyForJobs24
Pingback: এইচএসসি ২০২২ ভূগোল এসাইনমেন্ট উত্তর ৮ম সপ্তাহ - ApplyForJobs24
Pingback: এইচএসসি ২০২২ সমাজবিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর ৮ম সপ্তাহ - ApplyForJobs24
Pingback: এইচএসসি ২০২২ ফিন্যান্স ব্যাংকিংএসাইনমেন্ট উত্তর ৮ম সপ্তাহ - ApplyForJobs24