৯ম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর
৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১। প্রিয় ছাত্র ও ছাত্রী বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আসা করি সবাই ভালো আছেন। বরাবরের মতো, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য- প্রতি সপ্তাহে আপনার জন্য ষষ্ঠ,৭ম,৮ম,৯ম শ্রেণির এসাইনমেন্ট শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশের পরে, আমরা অবিলম্বে ৬ষ্ঠ,৭ম, ৮ম, ৯ম শ্রেণির উত্তর ২০২১ দিচ্ছি। আজকের পোস্টে, আমরা তোমাদের ষষ্ঠ,৭ম,৮ম,৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর শেয়ার করবো ।
৯ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ | ৫ম সপ্তাহের
আপনি কি ৯ম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ সন্ধান করছেন? তাহলে, আপনি সঠিক জায়গায় চলে আসছেন কারণ আমরা এখানে নবম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমস্ত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ও সমাধান প্রকাশ করেছি। আপনি আপনার শ্রেণির সমাধান প্রশ্নগুলিও দেখতে পারেন। আপনি যদি চান আপনার অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর সহজেই দেখতে পাবেন।
ক্লাস নাইন বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
ক্লাস নাইন বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়এসাইনমেন্ট সম্পর্কিত সকল তথ্য আমাদের এখানে বিস্তারিত আকারে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং আপনি যদি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সম্পর্কিত কোন তথ্য জানতে চান, তাহলে আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালভাবে পড়ুন। তাহলে আশা করা যায় ক্লাস নাইন এর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সম্পর্কে সকল তথ্য আপনি আমাদের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন।
Class 9 Bangladesh & Global studies 5th week Assignment Answer 2021
যেহেতু প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্ট বিদ্যালয় জমা দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের জন্য এই অ্যাসাইনমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই অ্যাসাইনমেন্ট আপনার বিদ্যালয় জমা দিলেই আপনি পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে পারবেন।
নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট ৫ম সপ্তাহের জন্য
৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
নির্ধারিত কাজ -২
তৃতীয় অধ্যায়:
সৌরজগৎ ও ভূমণ্ডল
৩.১ সৌরজগৎ-৫
৩.২ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের সময় নির্ণয়-৪
৩.৩ পৃথিবীর গতি-৪
৩.৪ জোয়ার-ভাটা-২
বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০ টার সময়ে জাপান, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় নির্ণয় কর। বাংলাদেশের সাথে উল্লিখিত দেশসমূহের স্থানীয় সময় ও ঋতুগত পার্থক্যের কারণ ব্যাখ্যা কর।
অধ্যায়- তৃতীয়
শিরোনাম- সৌরজগৎ ও ভূমন্ডল।
শিখনফল-
- সৌরজগতের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারব ;
- সৌরজগতের গ্রহগুলোর বর্ণনা করতে পারব;
- পৃথিবী গ্রহে জীব বসবাস এর কারণ ব্যাখ্যা করতে পারব ;
- ভূ-অভ্যন্তরের গঠন বর্ণনা করতে পারব ;
- সৌরজগৎ ও গ্রহসমূহের অবস্থানে এঁকে দেখাতে পারব ;
- নিরক্ষরেখা, সমাক্ষরেখা, দ্রাঘিমারেখা, মূল মধ্যরেখা, আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারব ;
- বিশ্বের সময় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কাল্পনিক রেখা গুলির ভূমিকা নির্ণয় করতে পারব ;
- বাংলাদেশ ও পৃথিবীর যেকোনো দেশের সময়ের পার্থক্যের কারণ ব্যাখ্যা এবং সময় নির্ণয় করতে পারব;
- বিভিন্ন রেখার অবস্থান এর চিত্র আঁকতে পারব;
- পৃথিবীর গতির ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারব;
- আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির ধারণার ব্যাখ্যা এবং পৃথিবীর উপর এ গতির প্রভাব বর্ণনা করতে পারব;
- দিবারাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করতে পারব ;
- পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করতে পারব ;
- বার্ষিক গতির সাথে বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তনের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে পারব;
- নতুন পরিস্থিতিতে গাণিতিক জ্ঞান প্রয়োগ করে সময় নির্ণয় করতে পারব ;
- জোয়ার ভাটার ধারণা, কারণ ও শ্রেণীবিভাগ ব্যাখ্যা করতে পারব ;
- পৃথিবীর উপর জোয়ার-ভাটার প্রভাব ব্যাখ্যা করতে পারব ;
- পরিবেশের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি ও অভিযোজন সক্ষম হব।
- পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত নম্বর ও শিরোনাম/ বিষয়বস্তু –
নির্দেশনা-
সময়ের পার্থক্যের ক্ষেত্রে দ্রাঘিমারেখার ভূমিকা উল্লেখ করবে।
স্থানগুলোর স্থানীয় সময় নির্ণয় করবে।
ঋতু পরিবর্তনের চিত্র অংকন করবে।
বার্ষিক গতির ফলাফল ও অবস্থানের ভিত্তিতে উল্লেখিত দেশগুলির ঋতুর পার্থক্য ব্যাখ্যা করবে।
৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
উত্তর এখান থেকে শুরুঃ
পৃথিবীর সময় ও স্থান নির্ণয়ের জন্য দ্রাঘিমা রেখার প্রয়োজন হয়। পুরো পৃথিবী 360 ডিগ্রী এর অন্তর্ভুক্ত। এই 360˚ কে কেন্দ্র করে গ্রিনিচ মান মন্দির কে ০ ডিগ্রি ধরে ১৯৮০ সালে সমগ্র পৃথিবীর জন্য একটি আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই 360˚ থেকে কোনো দেশের দ্রাঘিমা জেনে সেদেশের সময় নির্ধারণ করা যায়। তেমনিভাবে কোন দেশের জিএমটি সময় জেনে দ্রাঘিমার সাহায্যে সে দেশ কোথায় অবস্থিত তা জানা যায়। তাই বলা যায় সময়ের পার্থক্য এর ক্ষেত্রে বা সময় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দ্রাঘিমা রেখার গুরুত্ব অপরিসীম।
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও কানাডার স্থানীয় সময় নির্ধারণ : কোন দেশের সময়ের পার্থক্যের জন্য দ্রাঘিমারেখা অথবা আন্তর্জাতিক প্রমাণ সময়ের প্রয়োজন হয়। আর পৃথিবীতে একটি স্বীকৃত প্রমাণ সময় হল জিএমটি (GMT- Greenwich Mean Time Zone) অর্থাৎ গ্রিনিচ মান মন্দির কে ০ ডিগ্রী ধরে যে সময় নির্ধারণ করা হয়। নিচে উল্লেখিত দেশগুলির দ্রাঘিমা রেখার সাহায্যে তাদের সময় বের করা হলো –
আমরা জানি,
বাংলাদেশে = ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত
যুক্তরাষ্ট্র = -৬০ ডিগ্রী দ্রাঘিমা রেখা অবস্থিত
কানাডা = -৬০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত
জাপান = ১৩৫ ডিগ্রি দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত।
সুতরাং, উল্লেখিত ডিগ্রী দ্রাঘিমা থেকে জিএমটি সময় বের করলে আমরা জানতে পারব বাংলাদেশে যখন দশটা বাজে তখন অন্য দেশগুলোর সময় কত।
যুক্তরাষ্ট্র = -৬০ ডিগ্রী
আমরা জানি,
১˚ = ৪ মিনিট
সুতরাং, ৬০˚ = ৬০ X ৪
বা, ২৪০ মিনিট।
আবার, ২৪০÷৬০ = ৪ ঘণ্টা (৬০ মিনিট = ১ ঘণ্টা)
সুতরাং, যুক্তরাষ্ট্র জিএমটি – ৪ ঘণ্টা পিছিয়ে (যেহেতু -৬০˚ ছিল, তাই ‘-‘ মাইনাস হবে)।
বাংলাদেশ =৯০˚
৯০ X ৪ = ৩৬০ (১˚=৪ মিনিট)
আবার,
৩৬০÷৬০=৬ ঘণ্টা (৬০ মিনিট=১ ঘণ্টা)
অর্থাৎ, বাংলাদেশ জিএমটি ৬ ঘণ্টা এগিয়ে।
সুতরাং, জিএমটি ঘড়ি অনুযায়ী বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০ ঘণ্টা আগে। তাই এটা প্রমাণিত যে, বাংলাদেশে জুলাই মাসে যখন সকাল ১০ টা বাজে তখন যুক্তরাষ্ট্রে রাত ১২ টা বাজে।
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্রাঘিমা রেখা সমান হওয়ায় বলা যায়, কানাডাতেও রাত ১২ টা বাজে।
জাপান =১৩৫˚
১৩৫ X ৪=৫৪০ মিনিট (১ডিগ্রি =৪ মিনিট)
আবার,
৫৪০÷৬০=৯ ঘণ্টা
অর্থাৎ, জাপান জিএমটি অনুযায়ী ৯ ঘণ্টা এগিয়ে।
যেহেতু, বাংলাদেশ জিএমটি থেকে ৬ ঘণ্টা এগিয়ে অর্থাৎ জাপান বাংলাদেশ থেকে ৩ ঘণ্টা এগিয়ে, তাই বাংলাদেশে যখন জুলাই মাসের সকাল ১০ টা, তখন জাপানের সময় দুপুর ১টা।
স্থানীয় সময়ের পার্থক্যের কারণ :পৃথিবীটা গোলাকার হওয়ার কারণে সূর্যের আলো পৃথিবীর চারপাশে সমানভাবে পড়ে না। যার ফলে পৃথিবীর কোথাও সকাল হলে, অন্য পাশে রাত। আবার কোথাও ভোর হলে, অন্য পাশে সন্ধ্যা হয়। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশগুলোতে একদেশে ভোর পাঁচটা হলে, অন্য দেশের সন্ধ্যা ছয়টা।
আবার এক দেশে সকাল আটটা হলে, আরেক দেশে সন্ধ্যা নেমে আসে। আর পৃথিবীর এই রাতদিন হওয়ার কারণ হল আহ্নিক গতি। যদি পৃথিবীর আহ্নিক গতি না থাকতো, তাহলে দেখা যেত পৃথিবীতে এক পাশে সর্বদা দিন থাকতো, আরেক পাশে রাত থাকতো।
তাই বুঝা যায়, এই আহ্নিক গতির কারণে স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হয়ে থাকে।
ঋতুর পার্থক্যের কারণ : সময়ের পার্থক্য যেমন আহ্নিক গতির কারণে হয়ে থাকে, তেমনই ঋতুর পার্থক্য হওয়ার কারণ হলো বার্ষিক গতি। পৃথিবী নিজ অক্ষে অবিরাম ঘুরতে ঘুরতে নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যের চারপাশে একবার পরিক্রম করার নাম বার্ষিক গতি।
নিচে বিভিন্ন দেশের ঋতুর পার্থক্য হওয়ার কারণ তুলে ধরা হলো-
কোন স্থানে দিবাভাগের পরিমাণ রাতের পরিমাণ হতে দীর্ঘ হলে, সেই স্থানে বায়ুমণ্ডল অধিকতর উষ্ণ থাকে। যার ফলে ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র তাপের তারতম্য হয় এবং ঋতুর পরিবর্তন ঘটে।
সূর্যকে পরিক্রমণ কাল পৃথিবীর সব সময় ৬৬.৫° কোণে হেলে ঘুরতে থাকে। যার কারণে বিভিন্ন স্থানে সূর্য রশ্মির পতনে কৌণিক তারতম্য ঘটে এবং ঋতু পরিবর্তন হয়।
সূর্য ও পৃথিবীর দূরত্বের বৃদ্ধির ফলে সূর্যতাপে তারতম্য হয় এবং ঋতুর পরিবর্তন ঘটে। এই সকল কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ঋতুর পার্থক্য দেখা দেয়।
পৃথিবীতে বহু দেশ রয়েছে। এই দেশগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে রয়েছে এবং এদের সময় এর ভিন্নতা রয়েছে। পাশাপাশি সকল দেশে ভিন্ন ভিন্ন মৌসুম হয়ে থাকে।
হয়তোবা অনেক দেশে গ্রীষ্মকাল থাকে। কিন্তু সে গ্রীষ্মকালের মধ্যেও পার্থক্য থাকে। কোথাও বা বর্ষাকাল হয়। আবার কোথাও বা একদমই বৃষ্টি হয় না অথবা নাতিশীতোষ্ণ হয়। আবার কোথাওবা বরফ শীতল হয়ে থাকে।
উত্তর এখান থেকে শেষ
নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর
সকল শ্রেণির, সকল বিষয় এর এসাইনমেন্ট উত্তর সবার আগে পেতে এই সাইটের এই লিংটি সেভ করে রাখুন অথাব কোনো সোসাল মিডিয়া যেমন, ফেজবুক, ইমো, টুইটার, হোয়াটসএপ ইত্যদিতে শেয়ার করে রাখুন।
৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্টের উত্তর এবং আমরা ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির প্রত্যেক সপ্তাহের প্রতিটি বিষয়ের জন্য ধাপে ধাপে এখানে আলোচনা করছি। সুতরাং আপনি এখান থেকে আমাাদের ওয়েব সাইটে applyforjobs24.com আপনার শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের উত্তর সংগ্রহ করতে পারেন।
বিষয় |
৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের অ্যাসইনমেন্ট উত্তর লিংক |
বিজ্ঞান | নবম শ্রেণি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ৫ সপ্তাহ |
ইংরেজি | নবম শ্রেণি ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ৫ম সপ্তাহ |