চাকরির জন্য সিভি
চাকরির জন্য সিভি/জীবন বৃত্তান্ত লেখার নিয়মঃ চাকরির জন্য জীবন বৃত্তান্ত আবশ্যক। চাকরির আবেদন করতে হলে অবশ্যই চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানে জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে হয়। ইংরেজিতে একে বলা হয় কারিকুলাম ভিটাই।
বর্তমান যুগে ইন্টারনেট সার্চ করলে বিভিন্ন রকম হাজারো জীবন বৃত্তান্ত নমুনা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে অভিজ্ঞ কোন চাকরিজীবী তার জীবনে কি ধরনের জীবনবৃত্তান্ত ব্যবহার করেছেন তা সংগ্রহ করতে পারলে বেশি ভালো হয়। এবং এটির গুরুত্ব সবথেকে বেশি হয় । কেননা অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের জীবনবৃত্তান্তে অনেক দিক থাকে যেগুলো সহজে আমাদের মাথায় নাও আসতে পারে।
C.V Writing Rules
যে বিষয়টি অবশ্যৈই মনে রাখতে হবে,সেটি হলো, কর্মক্ষেত্রে চাকরিদাতার প্রার্থীকে প্রথম পছন্দের সুযোগ হলো জীবনবৃত্তান্ত দেখে পছন্দ করা। নিয়োগকারী নিয়োগ প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারে ডাকবে কি ডাকবে না তা অনেকটা নির্ভর করে জীবন বৃত্তান্তের উপর।
চাকরীর জন্য যেভাবে জীবন বৃত্তান্ত লিখবেন
জীবন বৃত্তান্ত মূলত দুই প্রকার
১. একাডেমিক জীবন বৃত্তান্ত এবং
২. পেশাদার বা প্রফেশনাল জীবন বৃত্তান্ত ।
একাডেমিক জীবন বৃত্তান্ত সাধারণত দেশে বা বিদেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদনের জন্য ব্যবহার করা হয় আর প্রফেশনাল জীবনবৃত্তান্ত প্রয়োজন হয় চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে। এখানে আমরা প্রফেশনাল জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে আলোচনা করব ।
একটি আদর্শ জীবন বৃত্তান্ত এর বৈশিষ্ট্য
- সকল তথ্য স্পষ্ট করে দেয়া থাকবে
- কোন প্রকার বানান ভুল থাকবেনা
- কোন পয়েন্ট নিয়ে কোনো সংশয় থাকেনা
- যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত হবে
- অল্পকথায় শিক্ষাগত জীবনের সব অর্জনের কথা বলা থাকবে
- অর্জিত দক্ষতা গুলোর কথা উল্লেখ থাকবে এবং
- ভাষার ব্যবহার হবে অভিনব, ব্যতিক্রম এবং সাবলীল
জীবন বৃত্তান্তে যে বিষয়গুলো থাকা আবশ্যক
- ছবি, নাম, যোগাযোগের ঠিকানা
- মা-বাবার নাম, পরিচয়, পেশা
- একাডেমিক ডিগ্রী, রেজাল্ট, প্রতিষ্ঠানের নাম, পাসের সাল, কোন কোর্সের বৃত্তান্ত (যদি থাকে)
- অভিজ্ঞতার বিবরণ (যদি থাকে)
- দুইজন রেফারেন্স এর নাম ও তাদের পরিচয় এবং যোগাযোগের ঠিকানা
কাগজের জীবন বৃত্তান্ত ছাড়াও এখন অনলাইনে, প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইটে সিভি পাঠানো যায় কিংবা ইমেইলে পাঠানো যায় । অনেক প্রতিষ্ঠানের চাকরির বিজ্ঞপ্তি না থাকলেও জীবন বৃত্তান্ত তাদের ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে রাখা যায়, যাতে শূন্য পদ সৃষ্টি হলে তারা বৃত্তান্ত দেখে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারের জন্য আহবান করতে পারে।
সব মিলিয়ে জীবন বৃত্তান্ত বেশি বড় না হওয়াই ভালো । কেননা চাকরির জন্য হাজার হাজার জীবন বৃত্তান্ত পেয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানগুলো, সে ক্ষেত্রে বেশি বড় হলে তা পড়ার সময় পায়না প্রতিষ্ঠান মানব সম্পদ বিভাগ অর্থাৎ যারা কাজটি সম্পন্ন করে থাকে।
SO, সময় নষ্ট না করে এখনি আপনার জীবন বৃত্তান্ত তৈরী করুন |
এছাড়াও দেখতে পারেনঃ
- About the Baltimore bridge collapse
- Bus crash in South Africa kills 45 people-Update News
- Top 5 Best Student Cities in the World
- The Ultimate Guide to Studying in Denmark
- USA Tourist Visa Best Interview